মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
(জামান মৃধা ডিমলা নীলফামারী)
যুগ যুগ ধরে সনাতন পদ্ধতিতে পেঁয়াজ চাষে কৃষকেরা তেমন লাভবান হতে পারেনি। কিন্তু বর্তমানে যুগউপযোগী ও আধুনিক পদ্ধতিতে যেমন, উন্নত ও পরীক্ষিত বীজ,আধুনিক চাষ পদ্ধতি, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার পরামর্শ, এনজিও কর্মীদের সহযোগিতা এবং নিয়মিত পরিচর্যা ও প্রয়োজনীয় জৈব সার,কীটনাশক ব্যবহারের ফলে চলতি রবি মৌসুমে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তা নদীর বালুচরে জেগে ওঠা ধু-ধু বালু চরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনে চরাঞ্চলের কৃষকের মুখেহাসি ফুটেছে।
জানাগেছে, গত বছর পেয়াজের সংকট এবং দাম বেশী হওয়ায় এসব চরাঞ্চলের কৃষক অন্যান্য ফসলের চেয়ে পেঁয়াজ চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় গম তামাক চাষ না করে এবারে চরাঞ্চলে শুধু পেঁয়াজ চাষে ঝুকে পড়েছে কৃষকেরা। তাই সর্বগ্রাসী তিস্তানদীর দুই কূলে জেগে উঠা চর সমুহে পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে এ অঞ্চলের কৃষকেরা। গত মঙ্গলবার উপজেলার ছাতনাই কলোনি,খগাখড়িবাড়ী,টেপাখড়িবাড়ী,খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানীর তিস্তা নদীর চর ঘুরে প্রতিয়মান হয়েছে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন। এসব চর এলাকার কৃষক বন্যায় রোপা আমন চাষে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও পেঁয়াজ চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছে। এ সময় পেঁয়াজ চাষী মনিরুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পেঁয়াজ ক্ষেতে কোন আপদ দেখা যায়নি। পেঁয়াজ ঘরে তোলা সময় পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে রোপা আমনের ক্ষতি পেঁয়াজ দিয়ে পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
অপর চাষী আকবর আলী বলেন, বর্তমান বাজার মুল্য স্থিতিশীল থাকলে পেঁয়াজ চাষীরা লাভবান হবে। এছাড়াও চাষীরা আগামীতে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হবে। মঙ্গলবার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারনে যোগাযোগ করা হলে কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সেকেন্দার আলী জানায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে এ উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যা গত বছর ছিল ৭০ হেক্টর জমিতে।গত বছরে বাজারে পেঁয়াজের তীব্র সংকট এবং মুল্য বৃদ্দি হওয়ায় সরকার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ১৫০ জন কৃষককে বিনা মুল্যে পেঁয়াজের বীজ ও সার সহয়তা করেছে।
চাষীরা অন্যান্য ফসলের তুলনায় পেঁয়াজ চাষে বেশী আগ্রহী হয়ে উঠছে। তিনি আশা করেন এবারে পেঁয়াজ চাষ ও বাম্পার ফলনে উৎপাদিত পেঁয়াজ দিয়ে দেশের চাহিদা পুরন করতে সক্ষম হবে। কিন্তু চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে বাজার মূল্য ১০-১৫ টাকা কমে গেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে পেঁয়াজের বাজার মূল্যে নিয়ে সন্দিহান অত্র এলাকার সাধারণ কৃষক।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।